শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নিখোঁজ হওয়ার ৫ দিন পর বিএনপির দুই নেতার সন্ধান পাওয়া গেছে। তারা এখন ঢাকার যাত্রাবাড়ির ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপের হেফাজতে রয়েছেন।
শনিবার সন্ধায় জগন্নাথপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান হাবিব পিপিএম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জগন্নাথপুর নিউজ ডটকমকে জানান, জগন্নাথপুর থানায় দায়েরকৃত জিডির সুত্র ধরে আমরা তদন্ত শুরু করি। তদন্তচলাকালে ঢাকার ডিএমপি পুলিশ আমাদেরকে জানায়, নিখোঁজ থাকা জগন্নাথপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ঘোষগাঁও গ্রামের মৃত মন্তাজ উল্লার ছেলে আনসার মিয়া ও একই ইউনিয়নের টিয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুস শহিদকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ির সায়দাবাদ এলাকা থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের স্পেশাল এ্যাকশন আর্মস এনফোর্সমেন্ট টিমের পুলিশ পরির্দশন (নিরস্ত্র) শেখ মনিরুজ্জামান এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করে। তাদের সঙ্গে বাক্ষ্রনবাড়িয়ার জেলার সদরের পুনিয়াউট এলাকার মৃত আশরাফ মিয়ার ছেলে দুলন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। তবে অভিযানকালে অপর আরো ২ থেকে তিনজন ব্যক্তি পালিয়ে গেছে। আটককালে আব্দুস শহিদের নিকট থেকে তিনটি বিদেশি রিভলবার ও ১৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। আটককৃত বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ি থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। বর্তমান তাঁরা ঢাকার যাত্রাবাড়ির ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপের হেফাজতে আছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক সঙ্গে মোটরসাইকেল যোগে নবীগঞ্জের উদ্যেশ্যে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন বিএনপির দুই নেতা। ৪ সেপ্টেম্বর যুবদল নেতা আনসার মিয়ার ভাগ্নে মুহিত মিয়া জগন্নাথপুর থানায় জিডি দায়ের করেন। যার নং ১৯৭।
এদিকে শনিবার রাতে এ প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে আনছার মিয়ার স্ত্রী রুছনারা বেগম তার স্বামী ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেছেন।
Leave a Reply